স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অদ্য ২৯ আগস্ট, ২০১৯ তারিখ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় আ. কা.মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়াম, কৃষি খামার সড়ক, ঢাকায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটি, এসআরডিআই এর আহবায়ক জনাব মোঃ কামারুজ্জামান। এর পর বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব ড. মোঃ আবদুল বারী।
সভাপতির বক্তব্যে সংস্থার পরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এবং বাঙ্গালী জাতির জনক।
উক্ত অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন তার বক্তব্যে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বর্ণাঢ্য জীবন এবং তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসীর কি অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মর্যাদাকে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন যার জন্য আমরা গর্ব করতে পারি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন নোবেল বিজয় করে বাঙালী তথা বাংলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দিয়েছেন তেমনী বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলায় প্রথম বক্তব্য দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের মর্যাদাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। যার জন্য আমরা গর্বিত জাতি।
জাতীয় শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন “বঙ্গবন্ধু কৃষির উন্নয়নের কথা ভেবে কৃষিবিদদের ২য় শ্রেণীথেকে ১ম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার কথা ভেবে তার সূযোগ্য কন্যা কৃষিতে যুগান্তকারী উন্নয়ন করতে পেরেছেন ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে আজ আমরা বিদেশেও রপ্তানী করতে পারছি।তিনি আরো বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিলেন “বাংলাদেশ একটা তলাবিহীন ঝুড়ি” সেই কিসিঞ্জার বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে বলেছিলেন ২০ বছরেও এমন নেতা হবেনা। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন ২০ বছর কেনো হাজার বছরেও এমন নেতা জন্মগ্রহণ করবেননা।“
উক্ত শোক অনুষ্ঠানে এসআরডিআই-সহ ডিএই, বিএআরসি এবং কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ছাড়াও রমনা-তেজগাঁওঅঞ্চলের বিভিন্ন রাজনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।